ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে গত এক সপ্তাহে ৪৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আজ সোমবার প্রথম চালানে একটি ট্রাকে ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে দ্বিতীয় চালানে ভারতীয় দু‘টি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। দুই চালানে মোট ৪৫ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে।
প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারতও রফতানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে নিম্ন আয়ের মানুষকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছিল। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস এম ওয়েল ট্রেডার্স ৪৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দু‘টি চালানে ৪৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে।