যাদুকাটা নদীতে সেতুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশেই এলাকাবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেদী হাসান ভূঁইয়া, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)

Location :

Tahirpur
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ |নয়া দিগন্ত

যাদুকাটা নদীতে ২০১৮ সালে শুরু করা সেতুর কাজ ২৮ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও দীর্ঘ সাত বছরে চারবার মেয়ার বাড়িয়েও শেষ হয়নি। এখন বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ। কাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে এবং সেতুর অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণ।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পাশেই এলাকাবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) সকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধনে সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন। দ্রুত সেতুর অবশিষ্ট কাজ শেষ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ার দেন বক্তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকারের তাহিরপুর শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, গণকল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহিরপুরের সভাপতি সারোয়ার গিয়াস, ঘাগটিয়া গণগ্রন্থাগারের আহ্বায়ক অমিও হাসান, তাহিরপুর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এমসি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ডাক্তার রামচন্দ্র রায়, সমাজকর্মী মাওলানা দেলোয়ার, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য এম সালমান আহমেদ সুজন, চিকিৎসাসেবা ফাউন্ডেশনের সদস্য নাজমুল ইসলাম, সমাজকর্মী গোলাম শহীদ, স্থানীয় বাসিন্দা হাকিকুল ইসলাম, শিক্ষক পল্টু রায়, ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম, মুফতি নেছার আহমেদ, সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের পক্ষে নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি জেলার সবেচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। পর্যটন স্পষ্ট, তিনটি শুল্কবন্দরসহ চারটি উপজেলার যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও সাধারণ মানুষকে এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এনিয়ে সর্বস্থরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।’

ভোক্তা অধিকার তাহিরপুরের সভাপতি আবুল হোসেন ও ঘাগটিয়া গণগ্রন্থাগারের আহ্বায়ক অমিও হাসান জানান, সুনামগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় সেতু যাদুকাটা নদীতে শাহ আরেফিন র. ও অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী নামে সেতুটির নির্মাণের কাজ সাত বছরেও শেষ না হওয়ায় জেলার চারটি উপজেলার বাসিন্দারা স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে এসেও আলোর মুখ দেখছে না। সাত বছরে সেতুর চারবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৮ সালে কাজ শুরু হয় আর ৩০ মাসেই নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। সে হিসাবে ২০২০ সালের মে মাসেই সম্পন্ন করার কথা ছিল। আমরা সেতুর অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।’