গাজীপুরের কালীগঞ্জে কমিউনিটি বেইজ ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিমকে বদলি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ‘কালীগঞ্জে কেঁচো সার প্রকল্পে অনিয়ম, কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শিরোনামে নয়া দিগন্ত পত্রিকায় গত ২৫ অক্টোবর তারিখে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
অনিয়মের ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম সরাসরি জড়িত থাকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম খান কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের নথিপত্র যাছাই-বাছাই ও পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সূত্রে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ শাখার উপসচিব মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অন্যত্র বদলির আদেশ দেন। প্রজ্ঞাপনে সেই কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিমকে গাজীপুরের জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমিতে (নাটা) প্রেষণে বদলি করা হয়েছে।
নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের সময় স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকির ঘাটতি ছিল। নামমাত্র কার্যক্রম দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও বরাদ্দকৃত কেঁচো না দেয়ার অভিযোগ ছিল ফারজানা তাসলিমের বিরুদ্ধে।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম খান মোবাইল ফোনে জানান, ‘কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিমকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তার স্থলাভিসিক্ত হয়েছেন শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী।’


