‘খাল খেটে কুমির আনা যাবে না’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খাল খননের পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। খালের মধ্যে যে একটা কুমির ছিল, এটা কেউ খেয়াল করেনি। সেই কুমিরটা ১৭ বছর মানুষকে যন্ত্রণা দিয়ে এখন দিল্লিতে পালিয়ে আছে। তাই খাল খেটে কুমির আনা যাবে না। খাল কেটে স্বচ্ছ পানি আনতে হবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মুগদার পূর্ব মানিকনগর বালুর মাঠ-সংলগ্ন এলাকায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘অদৃশ্য শত্রুকে মোকাবেলা করা কঠিন। কিছু অনুমান করা যায়, কিন্তু চোখে দেখা যায় না। কারণ চিহ্নিত শত্রু মোকাবেলা করা সহজ। যেই শত্রুকে চোখে দেখা যায় না, তাকে মোকাবেলা করা খুব কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘এই যে মাঝে মাঝে নানা ঘটনা দেখেন। এটা হলো যে আপনাদের ভোটের অধিকারটা যাতে আপনারা না পান, ভোটটা যাতে না দিতে পারেন, তার মধ্যে একটা ষড়যন্ত্র আছে।’
কর্মসূচি উদ্বোধন করে নেতাকর্মীদের নিয়ে খাল পরিষ্কার করতে যান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। হাতে নিড়ানি তুলে নিয়ে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। বেলা সোয়া ১টার দিকে খালের পাশে একটি জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন গয়েশ্বর। পরে বালুর মাঠ ইউনিট বিএনপির সেক্রেটারি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে খাল পরিষ্কার কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্তত ৪০ জন এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লিটন মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, ফরহাদ হোসেন, মুগদা থানা বিএনপির সভাপতি সামসুল হুদা কাজলসহ মহানগরের নেতারা।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির পরিবর্তে জনবান্ধব কর্মসূচি হিসেবে সপ্তাহব্যাপী খাল, পুকুর, রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার, পরিছন্ন এবং বৃক্ষরোপণ করবেন দলটির নেতাকর্মীরা।