বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে।
আজ বুধবার দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গার মেইন পিলার ৭৬-এর শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে অনুপ্রবেশকারী ২২ বাংলাদেশী নাগরিককে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী রয়েছেন, যারা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)-এর দর্শনা আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার এবং ভারতের ৩২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গেদে কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এই ধরনের পতাকা বৈঠক আস্থা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করছে।
হস্তান্তর হওয়া ২২ জন বাংলাদেশী নাগরিকরা হলেন- বরিশালের সন্ধার মানিক গ্রামের আব্দুর রহমান সরদারের মেয়ে মিম (১৫), বাগেরহাটের উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামের মো: সবুর খানের ছেলে আলাউদ্দিন আপন (২২), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উত্তর পাইকপাড়া গ্রামের যোগেশর দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৩), চট্টগ্রামের দক্ষিণ সাইদ বাড়ির মোস্তাদি মিয়ার ছেলে রোমান (৪২), চুয়াডাঙ্গার চন্দ্রবাস গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে রওশন আরা খাতুন (২৩), ঢাকার কাঠালিয়ার শামসুদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন (৫১), গাজীপুরের রেউলা বাড়ির মো: আলী মুল্লার মেয়ে মিম (২০), খুলনার হাজী বাড়ির বাবু মিয়ার মেয়ে চাহিদা আক্তার মিম (২৪), খুলনার ধরিমহিস দিয়া গ্রামের মরহুম নুরুল ইসলামের মেয়ে আফরিন খানুন (২৭), খুলনার ধরে মহিস দিয়া গ্রামের মনসুর মোল্লার ছেলে তারেক মোল্লা (৩০), খুলনার দড়ি মহেশদিয়া গ্রামের মরহুম নুর শেখের ছেলে আরিফ (৩১), মানিকগঞ্জের সিকারপুর গ্রামের মোল্লার মেয়ে আয়রিন আক্তার (১৭), নওগাঁর গাং দরিয়া গ্রামের সিদ্দিকুল ইসলামের মেয়ে সাথী পারভিন (৩০), নড়াইলের ইসলামপুর গ্রামের গোলাম মোল্লার ছেলে হাবিব মোল্লা (৩৪), নড়াইলের বিন্দারচর গ্রামের মীর মোহাম্মদ আলীর মেয়ে রোশান আরিজ (৩৫), নরসিংদীর গাজুটিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে শিউলি বেগম (৩২), নোয়াখালীর চানগাজি বসুন্ধরা হাটা গ্রামের মো: বেলাল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯), নোয়াখালীর লোকমান খন্দকার বাড়ির মো: সাইফুল ইসলামের মেয়ে উম্মে হানি সানু (১৮), পিরোজপুরের নবীনগর গ্রামের কালো চকিদারের মেয়ে মুন্নি আক্তার (২৬), রাজবাড়ীর বলিয়াকান্দি গ্রামের আব্দুল ফকিরের মেয়ে আবেদা আক্তার (২০), শরীয়তপুরের মল্লিক কান্দি গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে রাশেদ মোল্লা (২১), ঠাকুরগাঁর যামুন গ্রামের মো: ফজলুর রহমানের ছেলে আরমান আলি (২৩)।
বিজিবি জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরো মানবিক ও কার্যকর পদক্ষেপের পথ সুগম করবে।



