এবার দাখিল পরীক্ষায় জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গী। এ বছর টঙ্গী ক্যাম্পাসের মোট ৭৭৬ জন দাখিল শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৬৫ জন পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮৩ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬২.২৪ শতাংশ এবং পাসের হার ৯৮.৫৮ ভাগ।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান বলেন, ‘এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমাদের শিক্ষকদের নিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা। তবে এটিকে আমরা শেষ কথা ভাবছি না—এটি ভবিষ্যতের পথচলার প্রারম্ভ। আমাদের লক্ষ্য আরও উচ্চতর।’
তিনি শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক উন্নয়ন ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফাহিম আল বিরুনী বলেন, ‘জিপিএ-৫ পাওয়া একার কৃতিত্ব নয়—এর পিছনে আমার শিক্ষক, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের বড় ভূমিকা রয়েছে।’
ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস ও আত্মবিশ্বাস। দীর্ঘদিন ধরে দেশের শীর্ষ মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত তা’মীরুল মিল্লাতের এ ফলাফল দেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় এখনো অনন্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে শতভাগ সফলতার কৃতিত্ব বা প্রথম স্থান হারানোয় অনেকেই হতাশাও প্রকাশ করেছেন।
তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ফলাফলে সামান্য অবনতি আমাদের জন্য অশনিসংকেত। জিপিএ-৫ এবং পাশের হারে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে আরও মনোযোগী হতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু অ্যাকাডেমিক সাফল্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করাই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।’
জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার এ ফলাফল দেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী, শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধারে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে।