আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রংপুরে হাতে হাত রেখে একসাথে বিক্ষোভ করেছে জুলাই বিপ্লবে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দল। পরে সমাবেশ থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) জুমা’র নামাজের পর তারা বিক্ষোভ করে।
জানা যায়, জুমা’র নামাজের পর নগরীর জিলা স্কুল মোড়ে সমবেত হতে থাকেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা। পরে ৩ টার দিকে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাচারী বাজার ঘুরে আবারও জিলা স্কুল মোড়ে এসে শেষ করেন।
এসময় বিক্ষোভে হাতে হাত রেখে নেতৃত্ব দেন জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, যুবদল, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, স্বেচ্ছাসেবক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির প্রথম সারির নেতারা।
পরে রাস্তায় জমায়েত হয়ে বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াত সেক্রেটারি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মহানগর ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম পিয়াল, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব, মহানগর শিবির সেক্রেটারি আনিছুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব হোসেন সুমন, মহানগর ও জেলা এনসিপি সংগঠক আলমগীর নয়ন, শেখ রেজওয়ান, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরাত আহমেদ ও সদস্য সচিব ডা: জামিল হোসেনসহ জুলাই যোদ্ধারা।
এসময় বক্তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে নিরাপদে বিদেশে পারি দেয়ার ব্যবস্থা এবং নারায়নগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভির গ্রেফতারের সময় আওয়ামী লীগের জড়ো হতে দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আদর্শের মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আমরা সবাই এক। কোনো কিন্তু যদি অথবা বা সময়ক্ষেপন নয়, আজকেই প্রজ্ঞাপন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তারা আরো বলেন, ‘দল হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে এর বিচার করতে হবে। হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলাতে হবে। বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করে নির্বাচন দিতে হবে। যদি উপদেষ্টারা তা করতে ব্যর্থ হন। তাহলে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বিশেষ করে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করে রাস্তায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠ না ছাড়ার ঘোষণাও দেন বক্তরা।