ধারণক্ষমতা ২২০০ কিন্তু সেবা নেন প্রায় ৫ হাজার রোগী। ব্রেইন সার্জারির রোগীকে ফ্লোরে শুইয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, আবার টয়লেটের পাশেও রোগী ফ্লোরে শুয়ে চিকিৎসা নেয়। বলেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী মহাসড়কের উন্নয়ন’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওপর রোগীর ব্যাপক চাপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ও কর্ণফুলী এলাকায় চীনের সহায়তায় দু’টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। বিশেষায়িত এ দুটি হাসপাতাল রাঙামাটি-কাপ্তাই অঞ্চলের রোগীরা হাটহাজারী হাসপাতালে সেবা নিতে পারবেন এবং পটিয়া-সাতকানিয়া-চন্দনাইশ অঞ্চলের রোগীরা কর্ণফুলী হাসপাতালে সেবা নিতে পারবেন।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোনো ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল হাসপাতাল নেই। একটি ডেন্টাল কলেজ-হাসপাতাল নির্মাণের জন্যও পরিকল্পনা চলছে। কালুরঘাট এলাকায় একটি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ আরো অনেকে।