তালতলীতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৪

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা সদরের রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ইউসুফ আলী, তালতলী (বরগুনা)

Location :

Taltali
তালতলীতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
তালতলীতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ |নয়া দিগন্ত

বরগুনার তালতলীতে উপজেলা বিএনপির দু’টি গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী উপজেলা সদরের রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল হোসেন (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মান্নু (৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির হোসেন (৩৫), রহিম হাওলাদার (৪০), রুবেল হোসেন (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আব্দুল হাই (৫০), সাইদুল ইসলাম (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫) ও মিজানুর রহমান ওরফে টাস মিজান (২৫)।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী মো: আবুল কালাম।

এ সময় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, কৃষক দলের বরগুনা জেলা সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম আহসান, মংসেলন তালুকদার, যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফর হাওলাদার-সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: শহিদুল হক ও তার সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ কর্মসূচি পালনের সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে একই স্থানে সমাবেশ করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমবেত হন। উভয়পক্ষ মুখোমুখি হলে বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক-এর গ্রুপ যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুনের গ্রুপের উপর হামলা করে। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও নৌ-বাহিনী মাইকিং করে শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা সবাই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের সময় শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেন প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও নৌবাহিনীর সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী আবুল কালামকে মারধরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভে অংশ নিতে গেলে শহিদুল হকের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে, আহ্বায়ক মো: শহিদুল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়।’