ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘আলেমদেরকে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। যতদিন আলেম-ওলামা রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত হবে না ততদিন দেশে শান্তি-সুখ আসতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আলেমদেরকে তৎপর হতে হবে। জনগণের সাথে ওলামা-মাশায়েখদের সম্পর্ক থাকতে হবে। তাদের দেখভাল করতে হবে, খোঁজখবর নিতে হবে। বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনে ওলামাদেরকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যকেরই দোষ আছে। আমরা নিজের দোষ নিজে দেখি না, পরের দোষ খুঁজে বেড়াই। আমি যদি কাউকে সম্মান করি তাহলে আমিও তার কাছ থেকে সম্মান পাব। আর আমি যদি কাউকে বেইজ্জতি করি, তাহলে আল্লাহ আমাকে কোনো না কোনোভাবে বেইজ্জত করাবেন। আমাদের সকলের প্রতি বিনয়ী হতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জীবন সংক্ষিপ্ত। দেখতে দেখতে সময় শেষ হয়ে যাবে। ক্ষমতা, টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ কোনোকিছু স্থায়ী নয়। এদেশে একসময় যাদের অর্ডারে মানুষের ফাঁসি হয়েছে, আজ অন্যদের অর্ডারে তাদের ফাঁসি হতে যাচ্ছে। একারণে সবসময় আল্লাহকে স্মরণে রাখতে হবে, তাকে নারাজ করা যাবে না।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘উলামায়ে কেরামদের সংস্পর্শের বরকতে জীবন আলোকিত হয়। উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করা যায়। আলেম-ওলামাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ও তাদের কাছ থেকে নেক দোয়া নিতে হবে।’
মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, জামিয়ার শিক্ষাসচিব আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহসহ বিশিষ্ট আলেম-ওলামা।
উল্লেখ্য, দু’ দিনব্যাপী এ বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে গত ১৪৪৫-৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষে দাওরায়ে হাদীস উত্তীর্ণ প্রায় তিন হাজার আলেমকে সম্মানসূচক পাগড়ি পরানো হবে।