যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানকে আট মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় বাদির সাত লাখ টাকা ফেরতের আদেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক আইরিন সুলতানা এ আদেশ দেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়নের মাশিলা গ্রামের সামছুল আলমের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান জমি বিক্রয় করার জন্য বায়না স্বরূপ সাত লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে জমি রেজিস্ট্রি না করে বায়নার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর তারিখ দিয়ে সামছুল আলমকে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাত লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। সামছুল আলম চেকটি নগদায়নের জন্য ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ব্যাংকে জমা দিলে হিসাবটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে সামছুল আলম আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা চলাকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মামলাটি স্থগিতের জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। একপর্যায়ে আদালত আব্দুল মান্নানের রিট পিটিশনটি খারিজ করে দেন।
এ পর্যায়ে যশোরের আদালতে আবারো মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ যুক্তি তর্ক শেষে ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার যশোর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আইরিন সুলতানা আসামি আব্দুল মান্নানকে আট মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। একইসাথে বাদি সামছুল আলমের সাত লাখ টাকা ফেরতের আদেশ দেন।
এ সময় আসামি আব্দুল মান্নান আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা সুমন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম খোকন এবং অ্যাডভোকেট মৌলুদা পারভিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।