বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর করুণা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রুহুল আমিনের (৩৬) লাশ মৃত্যুর চার মাস পর দেশে পৌঁছানোর পরে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক গোরস্থানে জানাজার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন পনেরো মাস আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। পরিবারের সবার আশা-ভরসা ছিল তার ওপর। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, চার মাস আগে হঠাৎ করেই সৌদি আরবে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই পরিবার লাশ দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছিল।
নিহতের পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, প্রবাসে থাকা দালাল জসিম লাশ দেশে আনার নামে তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নানা টালবাহানায় দীর্ঘ সময় লেগে যায় লাশ আসতে। পরিবারের দাবি, শুধুমাত্র অর্থের জন্যই সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে।
রুহুল আমিনের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই।’ তিনি দাবি করেন, ‘রুহুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহতের বোনও অভিযোগ করেন, দালাল জসিম তার ভাইয়ের ওপর মানসিক অত্যাচার চালিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই খুব ভালো মনের মানুষ ছিল। দালাল চক্র তার সাথে অমানবিক আচরণ করেছে।’
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় জমা পড়েনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’