মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এ এস এম রিদওয়ানুর রহমান বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে নতুন জ্ঞানের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া। যেখানে পুথিগত শিক্ষার বাইরে পাঠদান করানো হয়। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিও পুথিগত শিক্ষার বাইরে উদ্ভাবনী পাঠদান করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ও একদিন বিশ্ব দরবারে জ্ঞানের জগতে খ্যাতি ছড়াবে।’
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অটাম সেমিস্টার ২০২৫-এর নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘আজ থেকে তোমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এ পরিবেশের সাথে তোমাদের মানিয়ে নিতে হবে। মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পাওয়াই মুখ্য থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সিজিপিএ পাওয়াই মুখ্য নয়। এখানে উদ্ভাবন ও জ্ঞান সৃষ্টি করাই মুখ্য হতে হবে। কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ কর্মজীবনে নিজেকে প্রস্তুত করার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আলোকিত মানুষ হওয়াই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। সততা মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ায় জরুরি। ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করতে হবে। তাহলেই কেবল আমরা উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারব।’
সশস্ত্র বাহিনীর সাথে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক করার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
মেজর জেনারেল বলেন, ‘নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, যাতে আমরাও উন্নতি করতে পারি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিবর্তনের পথে এগোতে হবে। দুটোর সাথে ব্যালেন্স করে যারা এগোবে তারাই সফল হবে। প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা নিজের সাথে করতে হবে। প্রতিযোগিতা যেন কারো সাথে দ্বন্দ্বে না জড়ায়। তাহলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে।’
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের এমিরেটস চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আজকের নবীন শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তোমাদের স্বপ্নপূরণের সারথি হিসেবে কাজ করবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর ৫২ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: কামরুল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্বপ্ন দেখানো। এ কাজ করে থাকেন ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা, সুতরাং শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তানভীর এম ও রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি এখানে একবিংশ শতাব্দীর সহায়ক শিক্ষা পাবেন। ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা সবাই হাই কোয়ালিফাইড। সুতরাং এখানে যে সুযোগ রয়েছে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একবিংশ শতাব্দীর দক্ষ ও উপযোগী করে নিজেকে গড়তে হবে।’
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান তানভীর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শফিকুল হোসাইন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাহের বিল্লাল খলিফা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মহিবুল বারি রহমান প্রমুখ।