ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অবৈধ নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী অপসারণে অভিযান জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার আবিদপুর, শিকারপুর, মিথলমা ও গজারিয়া বাজারসহ আশপাশের এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সকল ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন, তোরণ ও গেইট অপসারণ করা হয়। এ নিয়ে বুড়িচং উপজেলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে রাস্তার লাইটপোস্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি, দেয়াল, বিলবোর্ড, বাজার এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে অবৈধভাবে টাঙানো প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলেন প্রশাসনের কর্মীরা। এর ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নের পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিবেশগত সৌন্দর্য বজায় রাখা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি কার্যকর হয়। আচরণবিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে কিংবা নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড বা দেয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একই সাথে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভবন, সড়কবাতি, গাছ, সেতু ও বিদ্যুৎ খুঁটিতে প্রচার সামগ্রী টাঙানো নিষিদ্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং কুমিল্লা জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আজ বুড়িচং উপজেলায় তৃতীয় দিনের মতো সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার, তোরণ/গেইট ও অন্যান্য প্রচার সামগ্রী অপসারণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর আগে সকল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা এলাকায় নির্বাচন দকমিশনের নির্দেশনা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি বাস্তবায়নে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, তফসিল ঘোষণার পর বুড়িচং উপজেলার কিছু এলাকায় প্রার্থীরা স্বেচ্ছায় তাদের প্রচার সামগ্রী অপসারণ করলেও বিভিন্ন সড়ক ও বাজার এলাকায় এখনও অবৈধ ব্যানার ও পোস্টার ঝুলতে দেখা যায়। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।



