ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ কর্মস্থলে ফিরছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেকটি ট্রেনের ভেতরে, ছাদে ও দরজায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ফিরছে কর্মস্থলে। নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জংশন স্টেশন ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। বুধবার আখাউড়া গঙ্গাসাগর এলাকায় ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে দু’যুবকের মৃত্যুর পরও যাত্রীরা সর্তক হয়নি।
দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী কর্ণফুলী, ৩টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট-চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা, ৫টার দিকে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রামগামী নাছিরাবাদ, সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা নোয়াখালীগামী উপকুল এক্সপ্রেস নামে ট্রেন পাঁচটি আখাউড়া জংশন স্টেশন ছেড়ে যায়। একেকটি ট্রেন আখাউড়ায় যাত্রা বিরতির পর হুড়োহুড়ি করে ওঠার চেষ্টা করছে মানুষ। বগির ভেতরে জায়গা না থাকায় ছাদে ওঠে পড়ছে যাত্রীরা।
ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলনা না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছে হাজারো মানুষ। ট্রেনের ভেতরে ও ছাদে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীদের ভিড় এতটাই বেশি যে দরজা দিয়ে ট্রেনের ভেতরে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। দরজাগুলোতে ঝুলে ঝুলে মানুষ ফিরছে শহরে।
প্ল্যাটফর্মে রশিদ মিয়া নামে এক নিরাপত্তাকর্মী ছাদে না উঠার জন্য মাইকিং করছেন, কিন্তু কেউ কানে তুলছেন না। যে যার মতো ট্রেনের ছাদে উঠছে। যেকোনো ভাবেই হোক কর্মস্থলে ফেরা লাগবে।
আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা (সিআই) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘কেউ যেন ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কিন্তু তারপরও মানুষ ছাদে উঠে পড়ছে। জোর করে নামাতে গেলে ছাদ থেকে পড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে তাই ছাদে না উঠার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে। বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সর্তক করছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী।