নোয়াখালীতে সুব্রত হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে চরজব্বার থানা পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।

মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস

Location :

Noakhali
হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ
হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ |নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর চরজব্বারে গলা কেটে হত্যা করা সুব্রত চন্দ্র দাসের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেইসাথে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদকে (৫৭) গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ওয়াপদা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নূর মোহাম্মদ চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মরহুম আলী আহম্মদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে চরজব্বার থানা পুলিশের একাধিক দল অভিযান পরিচালনা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূর্ব শুল্ল্যুকিয়া এলাকার জনৈক জসিম ড্রাইভারের ঘর থেকে সুব্রতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে নূর মোহাম্মদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জানান, ১৩ অক্টোবর দুপুরে নিজের মোটরসাইকেলে ১০ বছর বয়সী ভাগ্নে ফয়সালকে সাথে নিয়ে গাছ কাটার শ্রমিকদের জন্য খাবার পৌঁছাতে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে সুব্রত চন্দ্র দাস তার স্ত্রী রিক্তা দাসকে আনতে ভূইয়ার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি সিএনজিকে ওভারটেক করার সময় সামনে থেকে আসা দ্রুতগামী মোটরসাইকেল দেখে সুব্রত হঠাৎ ব্রেক করেন এবং সড়কে পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নূর মোহাম্মদের মোটরসাইকেলটি তার ওপর দিয়ে চলে যায়, এতে সুব্রত দাসের মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।