আরেক মামলায় শ্যেন অ্যারেস্ট

কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীরকে ‘ভিআইপি প্রটোকল’!

এদিকে, একটি হত্যা মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হলে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে তাকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।

আ ফ ম নুরুল কাদের, কুষ্টিয়া

Location :

Kushtia
কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত আদালতে জ্যাকেটের পকেটে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছেন
কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত আদালতে জ্যাকেটের পকেটে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছেন

কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাতকে ভিআইপি প্রটোকলে হাতকড়া পরানো ছাড়াই আদালতে আনার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, একটি হত্যা মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হলে আদালতের বিচারক শুনানি শেষে তাকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে কুষ্টিয়া আদালতে আনা হয় তানভীর আরাফাতকে। দৌলতপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা পারভেজের আদালতে হাজিরা তাকে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাতে গত ২৬ ডিসেম্বর দৌলতপুরে বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে হাজির করা হলে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

এদিকে, এই পুলিশ অফিসারকে কুষ্টিয়া কারাগার থেকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা ও নেয়ার পথে দেয়া হয় ভিআইপি প্রটোকল। তাকে বহন করা প্রিজন ভ্যানের আগে ডিবি পুলিশের একটি মাইক্রোবাস এবং পিছনে পুলিশের একটি ভ্যান। তাকে হাতকড়া না পরিয়েই আদালত চত্বরে আনা হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে তার গায়ে থাকা জ্যাকেটের পকেটে দুই হাত রেখে পায়ে হেঁটে আদালতে উঠেন। আদালত চত্বরে অবস্থানাকলীন পুরো সময়টি তাকে হাতকড়াবিহিন থেকে জ্যাকেটের পকেটে হাত রাখতে দেখা যায়।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোলাইমান শেখ বলেন, দৌলতপুর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতারের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দশ দেয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়। কুষ্টিয়ায় চাকরিকালে বিতর্কিত ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এসএম তানভীর আরাফাত। কুষ্টিয়া জেলায় আসার পর থেকেই নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

জানা যায়, দৌলতপুরে নিহত বিএনপি কর্মী কুদরত আলীর ছেলে ২০২৪ সালের ২৬ অক্টোবর দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন— দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার, এসআই রোকনুজ্জামান, এসআই মেহেদী হাসান, এসআই শাহজাহান, এএসআই আনিচুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আহমেদসহ অনান্যরা।

এছাড়া ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে কুষ্টিয়া সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতের বিরুদ্ধে অফর আরেকটি মামলা করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১০-১২ জনকে।

নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে। মামলার বাদি সুজন হোসেন কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন এলাকার লালন শাহ সড়কের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।