টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে চকরিয়া-আলীকদম সড়কের মিরিঞ্জা নামক স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চকরিয়া পৌর শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে পাহাড় ধসে চকরিয়া-লামা-আলিকদম সড়কের মিরিঞ্জা অংশ বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের মিরিঞ্জার পাহাড় ধসের ঘটনাস্থলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় রাস্তা পুনরায় যান চলাচলের উপযোগী করা হয়। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক থেকে পাহাড়ে ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে চকরিয়া ও পেকুয়ায় থেমে থেমে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে উজান থেকে বৃষ্টির পানি নেমে মাতামুহুরি নদীর পানি হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী, ইলিশিয়া, বিএমচর, হারবাং, কাকরা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমু, বরইতলী এবং পেকুয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে ঢলের ঢুকে পড়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। অসহায় হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। সারাদিন বৃষ্টিতে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে এক বেলা খেয়ে দিনাতিপাত করছে।
চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান মাতামুহুরি নদীর কন্যারখুম ও পৌর শরহ রক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ পরিদর্শন করেন এবং বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে বলে তিনি জানান।