আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপির ঘোষিত মনোনয়ন নিয়ে দলীয় অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নীরব লড়াই। এ প্রতিযোগিতায় রয়েছেন মনোনয়ন পাওয়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুক। অপরদিকে আছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা।
মনোনয়ন পেয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো নিজের গ্রামের বাড়ি করিমগঞ্জের বৈরাটিয়াপাড়ায় যান ওসমান ফারুক। তাকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাজার হাজার জনতা অভিনন্দন জানান। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
একইদিন কাছাকাছি সময়ে উপজেলা সদরে বিশাল শো-ডাউন করেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা।
তিনি তার কর্মসূচিকে কেন্দ্রঘোষিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান দাবি করলেও স্থানীয়দের মতে, এটি আসলে মনোনয়ন দাবির কর্মসূচি। যেন দলঘোষিত মনোনয়ন বাতিল করে, তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
এ কারণে এ বিশাল শো-ডাউনের আয়োজন। উপজেলা সদরের আনন্দবাজার থেকে মিছিলটি বের হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একইস্থানে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে দুপুর একটার দিকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে করিমগঞ্জের বৈরাটিয়াপাড়ায় নিজ গ্রামের বাড়িতে যান ড. এম ওসমান ফারুক।
স্থানীয় বাজারে প্রবেশের সময় তাকে স্বাগত জানান কয়েক হাজার নেতাকর্মী। তখন ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে তিন শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর তার বহরের গাড়িগুলোকে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে এগিয়ে নিয়ে আসে।
বৈরাটিয়াপাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। এবারও সুযোগ পেলে এলাকার উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। চারদলীয় জোট সরকারের সময় আমার মন্ত্রণালয় ছিল দুর্নীতিমুক্ত। যা দেশবিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।’ আসন্ন নির্বাচনে দলের সবাই তাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে, ঢাকঢোল বাজিয়ে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার মিছিলে অংশ নেন। অনেকের হাতে ছিল জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি সংক্রান্ত প্ল্যাকার্ড।
জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা তার বক্তৃতায় মনোনয়ন প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তিনি দলের জন্য তার দীর্ঘদিনের ত্যাগ, মামলার বোঝা ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন বক্তব্যে। এ সময় তার সমর্থকরা ‘মনোনয়ন পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে, জাহাঙ্গীর মোল্লাকেই দিতে হবে’- এ ধরণের স্লোগান দেয়।
তবে এ কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। তারা ছিলেন ওসমান ফারুকের সাথে।



