রাতে সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত যুবদল নেতা রনি হোসাইনকে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা। তবে হাসপাতালে গিয়ে বন্ধ পায় জরুরি বিভাগের কলাপসিবল গেট। তালাবদ্ধ গেট খুলতে ডাকাডাকি করলেও আধাঘণ্টায় কোনো সমাধান মেলেনি। ততক্ষণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রনি। ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশের সাথে ফুঁসে উঠেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
রনির স্বজনদের অভিযোগ, আধাঘণ্টারও বেশি সময় ডাকাডাকির পরেও কেউ না খুললে ক্ষুব্ধ স্বজনরা গেটের তালা ভাঙতে চেষ্টা করেন। পরে একজন গেট খুলে দিলে রনিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনদের দাবি, সময়মতো চিকিৎসা দিতে পারলে হয়ত রনিকে বাঁচানো যেত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলা কখনোই মানা যায় না।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী নয়া দিগন্তকে জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। সকালেই প্রশাসনিক এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
নিহত রনি হোসাইন পৌর এলাকার আমুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে হত্যার সাথে গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রদল নেতা শেখ রাজু আহমেদ নামে এক নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তিনি গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলবাড়ি পূর্বপাড়ার বাবুল আহমেদের ছেলে। ঘটনার কয়েকঘণ্টা আগে রনি তার ফেসবুক আইডিতে নারীঘটিত বিষয়ে রাজুর বিরুদ্ধে কয়েকটি পোস্ট করেন। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা নয়া দিগন্তকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। আটকও নেই। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।