সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নয় ভিক্ষুককে গরু-ছাগল ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় মাঠে তাদের মাঝে এ সহায়তা দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বিল্লাল হোসেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: শাহজাহান, কৃষি কর্মকর্তা মো: নুর-ই-আলম, প্রাণী সম্পদ অফিসের ভ্যাটেনারি সার্জন ডা: তামান্না দিলসাত রিমি, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: ইদ্রিস আলী সরকারসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও একাধিক ইউনিয়নের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, ‘সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সমাজ সেবা অধিদফতরের উদ্যোগে সারাদেশে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাকুন্দিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিস ভিক্ষুকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে। সেই লক্ষ্যে ১৯টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে নয়জন ভিক্ষুকের মাঝে তাদের চাহিদা অনুযায়ী গরু-ছাগল ও ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য নগদ অর্থ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে চারজনকে একটি করে বকনা গরু, একজনকে দুটি ছাগল ও চারজনকে নগদ অর্থ দেয়া হয়। মোট তিন লাখ ৬৫ হাজার টাকার সামগ্রী দেয়া হয় তাদের।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘তাদের চাহিদা অনুযায়ী এবং যার যার কর্মদক্ষতার কথা চিন্তা করে গরু-ছাগল ও নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমি আশা করব এ সহায়তা নিয়ে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি পেশা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে এবং দেশের বৃহৎ দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী আস্তে আস্তে কমে আসবে।’



