নারায়ণগঞ্জ শহরে অটোরিকশা চলাচলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্রে করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নগর ভবনে হামলা চালিয়েছেন অটোরিকশা চালকেরা। এতে সিটি করপোরেশনের স্টাফসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা নগর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন হামলাকারীরা।
সোমবার (১২ মে) দুপুরে নগর ভবনে এই হামলা করা হয়।
এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগর ভবনের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর চালায়। সিটি করপোরেশনের স্টাফরা হামলাকারীদের বাধা দিতে এলে তাদের উপর হামলা চালায় তারা। তাদের পিটিয়ে, কুপিয়ে আহত করেন অটোচালকরা। হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন- সিটি করপোরেশনের সুপারভাইজার সম্রাট ইসলাম, যানজট নিরসন কর্মী শাওন, লিটন ও পলাশ।
এর আগে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জের অংশ হিসেবে এবং শহরে যানজট নিরসনে মূল শহরে অটোরিকশা চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। শহরের প্রবেশপথগুলোতে অনুমোদনহীন অটোরিকশা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে, বিগত কয়েক মাস যাবৎ শহরে অবাধ প্রবেশাধিকার চেয়ে আন্দোলন করছিল অটোরিকশা চালকেরা। এর আগে চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ ও নগরভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি পালন করেছে অটোরিকশা চালকেরা। সোমবার দুপুরে এর জেরেই অটোচালকেরা নগর ভবনের সামনে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগর ভবনে হামলা চালায় তারা।
হামলায় আহত ছাত্ররা জানায়, তারা বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করছিল এবং সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তাদের সহযোগিতা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই অটোরিকশা চালকেরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।
তারা আরো জানায়, হামলাকারীদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তোলে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় বিরুদ্ধে যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে অটোচালকদের বিরুদ্ধে। আজকের এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ও সিটি করপোরেশনের স্টাফদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন জানান, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই এ হামলা করে হামলাকারীরা। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায় এবং আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারী, ছাত্র প্রতিনিধিদের গুরুতর আহত করে।