আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাজাহানপুর উপজেলা) এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করায় বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর পরপরই বগুড়ায় তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে জেলার দু’টি আসনে (বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭) নির্বাচন করে আসছেন এবং কখনো পরাজিত হননি। ঐতিহ্যবাহী এ নির্বাচনী এলাকায় এবার খালেদা জিয়ার সাথে তার পুত্র তারেক রহমানের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচনে তারেক রহমান বগুড়া-৭ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর রাত ৭টার দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে এক আনন্দ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এ মনোনয়নকে ‘বগুড়ার সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুশির সংবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, এ খবর পাওয়ার পরপরই তারেক রহমানকে টেলিফোন করে বগুড়াবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তিনি বগুড়াবাসীর কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, আগামী নির্বাচনে সারা বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বগুড়াবাসী নির্বাচিত করবেন। আমরা আশা করছি, বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আগামীতে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
এ মুহূর্ত থেকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি জোর আহ্বান জানান। এ ছাড়া শহরের সাতমাথাসহ বিভিন্ন স্থানে অতি উৎসাহী নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন বলেও জানা গেছে।
একই দিনে জেলার আরো চারটি আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধারণা, এখানে জোটের শরীক নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ছাড় দেয়া হবে।
এদিকে আগে থেকেই জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৭ আসনে জেলা জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম রব্বানী এবং বগুড়া-৬ আসনে শহর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
 


