নাটোরে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের সময় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহতরা সবাই শিল্পপতি কাশেমের সমর্থক।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে শহরতলী দত্তপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মালেক।
লিখিত বক্তব্যে মালেক বলেন, শনিবার দুপুরে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করছিলেন দলের নেতা কর্মীরা। পরে বড় হরিশপুর বাইপাস থেকে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্টেশন বাজার এলাকায় পৌঁছলে সেখানে ওৎ পেতে থাকা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারী এবং তার ছোট ভাই জেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ব্যাপারীর বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
অতর্কিত এ হামলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ( ৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিতাস (৪২), স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মজিদ ভূঁইয়া, এন এস সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির হাবিব (২৮), যুবদল কর্মী সাব্বির (৩০), (কাইফ ৩২) ও বাবুসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এসময় হামলাকারী অন্তত ২৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলাকারীদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহত সাব্বির, কাইফ ও বাবুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল ব্যাপারী বলেন, আমি ঠিকাদারি কাজে সড়ক ভবনে যাচ্ছিলাম। এসময় স্টেশন বাজার এলাকায় পৌঁছলে মালেকের সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমার স্বজনরা প্রতিরোধ করে মাত্র। এসময় আমার ম্যানেজারসহ সুমন ও বাবু আহত হন। একই সময় তাদের ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আমার সমর্থককেরা।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, শফিকুল ইসলাম মালেক ও আবুল ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাংচুর করা মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



