চাঁদপুরে মেঘনায় লঞ্চ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য।

ইলিয়াছ পাটওয়ারী, চাঁদপুর

Location :

Chandpur

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় আটজন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০ জনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেফতার অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদী বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য।

মামলায় নামীয় আসামিরা হলেন- মো: ফিরোজ খান (৫৩), মো: কামাল হোসেন (৫৫), মো: মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো: সুলতান খান (৪৫), মো: মিন্টু (২৮), মো: সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো: মনিরুজ্জামান (৪০)। এই আটজন এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী। মামলায় আরো ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেফতার চার আসামিকে ঝালকাঠি থেকে গতকাল চাঁদপুর নৌ থানায় আনা হয়। আজ তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার কার্যক্রম অব্যাহত।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নাজমুল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের পক্ষে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নৌ-পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চার যাত্রী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।