গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার তরিকুল ইসলাম (৩০) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে অপহরণের তিনদিন পর র্যাবের সহযোগিতায় বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) রাত ১০ টার দিকে গাইবান্ধা অ্যাডিশনাল এসপি বিদ্রোহ কুমার কুন্ড সাদুল্লাপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃত তরিকুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে সোমবার দুপুর ২ টার দিকে বগুড়ার কোতয়ালী থানাধীন নিশিন্দারা এলাকা থেকে তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অ্যাডিশনাল এসপি বিদ্রোহ কুমার কুন্ড বলেন, ‘অপহরণ সংক্রান্ত সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা হলে এ থানা পুলিশ কর্তৃক র্যাবের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নিশিন্দারা এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সময়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকেলের দিকে তরিকুল ইসলাম নিজবাড়ি থেকে সাদুল্লাপুরের পঁচারবাজাস্থ ওষুধের দোকানে যাওয়ার পথে ভাতগ্রামের হাতি চামটা ব্রিজে পৌঁছালে স্থানীয় লিমন, মোস্তফা ওরফে মোস্তা ও সুমনসহ এজাহার নামিয় আসামিরা তরিকুল ইসলামকে আটক করে মারপিট করেন। এরপর জোরপূর্বক অপরিচিত ব্যক্তির অটোবাইকে তুলে সাদুল্লাপুরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর পাশের রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকার নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে এবং আসামিরা বিভিন্ন সময়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে তরিকুলের স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়।’
একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের তৎপরতার বিষয়ে জানতে পেরে গত শনিবার দিনব্যাপী তরিকুল ইসলামকে রংপুরের পীরগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর একাধিকবার তরিকুল ইসলামের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে তার পরিবারের নিকট টাকার জন্য তাগিদ প্রদান করেন।
পরে রোববার (৪ মে) আসামিরা ভিকটিম তরিকুল ইসলামকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরানোর পর বগড়ার কোতয়ালী থানাধীন নিশিন্দারা এলাকার অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখেন এবং আসামিরা আশপাশে অবস্থান করতে থাকেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসনাত জামানের নেতৃত্বে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সহযোগিতায় সোমবার দুপুর ২ টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে।