চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী থেকে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বোট মালিকসহ ১৮ জন জেলে ১৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় উৎকণ্ঠায় রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার নতুন ফিশারিঘাট থেকে ‘এফবি খাজা আজমীর’ নামের ফিশিং বোটটি সাগরে যায়। এরপর থেকে তাদের আর কোনো সন্ধান মিলছে না। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর বোট মালিকের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০) চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী আলী আকবর (৪৯) দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরার ব্যবসার সাথে জড়িত। তার মালিকানাধীন ফিশিং বোটের (রেজিস্ট্রেশন নং এফ-৯৭৫৪) অধীনে মাঝি আবু তাহের (৫৫), স্টাফ জামাল (৪৫), বাবুর্চি রুবেলসহ (৩৫) আরো ১৪ জন সাগরে মাছ ধরতে বের হন। ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সাথে আলী আকবরের সর্বশেষ ফোনালাপ হয়। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত নম্বরসহ অন্য স্টাফদের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের পরিবারের চোখে ঘুম নেই, তাদের চোখে এখন ঘোর অমানিশা। প্রতিদিন আশায় বুক বেঁধে ঘাটে গিয়ে দাঁড়ান স্বজনরা। হয়তো ফিরে আসবেন পরিবারের কর্তারা। কিন্তু টানা ১৬ দিনেও ফিরে আসেননি চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানার নতুন ফিশারিঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ১৮ জেলে। দিশেহারা পরিবারগুলোর অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরায় না।
কান্নাকণ্ঠে বোট মালিকের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম সাগরে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু টানা ১০ থেকে ১১ দিন অপেক্ষার পরও তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। এখনো স্বামী ও বোটের সকল মাঝিমাল্লা নিখোঁজ। পুলিশও কোনো খোঁজ দিতে পারছে না।’
সদরঘাট নৌ-থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে খোঁজাখুজি চলছে।’
সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরিফ বলেন, ‘১৩ তারিখের পর থেকে তাদের মোবাইল নম্বরগুলোর কোনো অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে তাদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছি। দেশের প্রতিটি থানায় বার্তাও পাঠানো হয়েছে।’