সাভারে নিখোঁজের দুই মাস পর মিলন হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মোহাম্মদ টাউনের কাঁশবন থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিলন সাভারের আশুলিয়ার পাড়াগাঁও এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাত। কিশোর মিলন হোসেনের মা জোসনা বেগমের দাবি, উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল তার ছেলের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মাহবুব উল্লাহ সরকার বলেন, ‘ডিএনএ টেস্ট করার পর আমরা নিশ্চিত হতে পারবো উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কিশোর মিলন হোসেনের কি-না।’
অপরদিকে স্বজনদের অভিযোগ, মিলন হোসেন নিখোঁজের পর থানায় অভিযোগ এবং পরবর্তী সময়ে পুলিশের পরামর্শে মামলা করলেও বিভিন্ন অজুহাতে আসামি গ্রেফতারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নিহতের স্বজন ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আমিন মোহাম্মদ টাউনের কাঁশবন সোমবার বিকেলে কিশোর মিলনের মা জোসনা বেগম ছেলের জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট দেখে তার ছেলে মিলনের লাশ শনাক্ত করেন এবং ঝাউবাগান থেকে কঙ্কাল দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ কঙ্কাল ও শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়-গুড় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মিলন হোসেনের বোন ফারজানা জানান, ‘তার ভাই গত ২৯ সেপ্টম্বর অটোরিকশা চালানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে এ ঘটনায় থানায় মো: সুমন (২৫), বাবা মো: বাচ্চু মিয়া, থানা সুনামগঞ্জকে অভিযুক্ত করে এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মা। আমরা পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ বলেন, তোমার ভাই মেয়ে নিয়ে গাইবান্ধা পালিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরে একটি মোবাইলের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে আমাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে ১৮ নভেম্বর আশুলিয়া থানায় মো: সুমনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) মাহবুব উল্লাহ সরকার বলেন, ‘কঙ্কালটি ফরেনসিক তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি কিশোর মিলনের লাশ কি না। স্বজনদের নানা অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, পরিবার অভিযোগ করতেই পারেন।’
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় মো: সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।