সকল ইসলামি দল জোট বেঁধে বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির শাসন দেখেছি। তাদের শাসনামলে অনিয়ম দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, দখলবাজি ও অর্থ পাচারের মহোৎসব দেখেছি। গত ফ্যাসিস্ট আমলে দেশ থেকে আটচল্লিশ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়েছেন অট্টালিকা। ব্যাংকে জমিয়েছেন টাকার পাহাড়। আমরা এসব দুর্নীতির শ্বেতপত্র দাবি করছি।’
শনিবার (২১ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারতের সাথে যে সমস্ত গোলামির চুক্তি করেছে তা বাতিল করতে হবে। আমরা ভারতের দালালি মানব না। সেই ভারতের সাথে আঁতাত করে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আওয়ামী লীগের মতো দেশত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দলোনের যুদ্ধ শেষ হয় নেই, শুরু হয়েছে মাত্র। আমরা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। দুর্নীতি, বৈষম্য দূর করে একটি মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তবায়ন করে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু একটা দল ভোটের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই তারা দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও দলীয় কোন্দলের কারণে খুনোখুনি করছে। তাদের লুটপাটের কারণে জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সকল ইসলামি দল জোট বেঁধে বৈষম্যহীন, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সময় এসেছে।’
জনসভা শেষে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের পরিচয় করে দিয়ে নাম ঘোষণা করেন মুফতি ফয়জুল করীম।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে রাইসুল বারী রনি, কুড়িগ্রাম-২ আসনে নুর বখত, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে সাবেক এমপি ডাক্তার আক্কাছ আলী ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনে হাফিজুর রহমানের নাম ঘোষণা করে তিনি স্লোগান তুলেন, ‘কথায় কাজে মিল পাই, হাত পাখার চরমোনাই।’
কুড়িগ্রাম জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন আশরাফ আলী আকন, গাজী আতাউর রহমান, নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফিজু রহমান।



