সিলেটে নানা আয়োজনে শহীদ সাংবাদিক তুরাবের শাহাদতবার্ষিকী পালন

শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্মরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জুলাই আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের প্রথম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
নয়া দিগন্ত

শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্মরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জুলাই আন্দোলনে সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাবের প্রথম শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের উদ্যোগে দিনভর এসব পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়।

শনিবার (১৯ জুলাই) শহীদ সাংবাদিক তুরাবের ১ম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে তুরাব স্মৃতি পদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে সাংবাদিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একইসাথে তুরাবের প্রতিষ্ঠান দৈনিক জালালাবাদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়।

সিলেট প্রেস ক্লাব

শহীদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব জীবন দিয়ে আমাদের দায়বদ্ধ করে গেছেন। তার হত্যার বিচার নিয়ে কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না। শহীদ তুরাবের বিচার ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সহযোগিতা করতে হবে।

জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সিলেট প্রেস ক্লাব সদস্য শহীদ সাংবাদিক তুরাবের ১ম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট প্রেস ক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভা, তুরাব স্মৃতি পদক প্রদান ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সিলেট প্রেস ক্লাবের আমীনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম বলেন, ফ্যাসিস্টদের দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। দেশকে ভালবেসেই এতে প্রাণ দিয়েছেন তুরাবসহ অন্যরা। তাদের রক্তের সাথে আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তুরাব স্মৃতি পদক প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান রইলো।’

সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: রেজাউল করিম বলেন, ‘পুলিশ সরকারের হয়ে কাজ করবে কিন্তু তার মধ্যে পেশাদারিত্ব থাকবে না তা হতে পারে না। ভোট ও গণতন্ত্রের সংস্কৃতি না থাকায় পুলিশ দিয়ে সব কিছু করানোর কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এ জন্য আমরা লজ্জিত বলে মন্তব্য করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘অপরাধ কর্মকাণ্ডে পুলিশ সদস্য জড়িত হলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তুরাব হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিবিড়ভাবে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তুরাব হত্যার বিচার চাইলে আটঘাট বেধে নামতে হবে। এ জন্য একটি আইনজীবী প্যানেল গঠনের পরামর্শ রইলো। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সাংবাদিক তুরাবের স্মৃতি তুলে ধরতে সিলেট সিটি করপোরেশন, প্রশাসনসহ অন্য সংস্থার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে সিলেট প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান থাকবে।’

সিলেট প্রেস ক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও সিলেট প্রেস ক্লাবের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক প্রফেসর ফরিদ আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদ আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেল, ইমজা সেক্রেটারি সাকিব আহমদ মিঠু, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর আহমদ সোহেল, দৈনিক জালালাবাদের প্রধান প্রতিবেদক আহবাব মোস্তফা খান।

অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট প্রেস ক্লাবের পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ। মোনাজাত পরিচালনা করেন ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: আব্দুর রাজ্জাক।

সিলেট প্রেস ক্লাব প্রবর্তিত ‘তুরাব স্মৃতি পদক’ লাভ করেছেন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সিনিয়র রিপোর্টার ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কাউসার চৌধুরী। এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় পদক লাভ করেন ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আশকার আমিন ইবনে লস্কর রাব্বী।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিক সমাবেশ

‘সিলেটের শতবর্ষের সাংবাদিকতার ইতিহাসে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ সাংবাদিক তুরাব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সিলেটে পুলিশের গুলিতে সারা বাংলাদেশে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথম শহীদ তিনি। দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হবার পরেও আজ আমরা তার বিচার চাইতে রাজপথে নামতে হয়েছে। তুরাবকে ৯৮টি গুলি করে তার বুক ঝাজরা করেছে পুলিশ। তুরাবের বুক ঝাজরা হয়নি, হয়েছে সিলেটের সাংবাদিকদের বুক। আজ সিলেটের সাংবাদিকদের জন্য একটি বেদনাবিধুর, দুঃখ, কষ্টের দিন। তুরাবের রক্তের ঋণ সুধ করতে হলে সিলেটের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবব্ধ ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে তুরাব হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। যদি বিচারের বিলম্ব হয়ে তাহলে সিলেটের সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’

শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিক সমাবেশে সিলেটের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ সাংবাদিক, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য, দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেট ব্যুরো প্রধান তুরাবের প্রথম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশকার ইবনে আমীন লস্কর রাব্বীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুক্তাবিস উন-নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, দৈনিক সিলেট মিররের সম্পাদক আহমেদ নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, আধুনিক কাগজের সম্পাদক মো: মঈন উদ্দিন, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় দৈনিক আমার দেশের ব্যুরো প্রধান খালেদ আহমদ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান আব্দুল কাদের তাফাদার, দৈনিক সিলেট বানীর নির্বাহী সম্পাদক এম এ হান্নান, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক কবির আহমদ সুহেল, ইমজার সভাপতি আশরাফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমদ মিটু, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মালিক জাকা, কামকামুর রাজ্জাক রুনু, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো প্রধান কবির আহমদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) সিলেট প্রতিনিধি শুয়াবুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান মিটু দাশ জয়, নিউ ন্যাশনের সিলেট ব্যুরো শফিক আহমদ শফি, সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক আহমদ, ফয়সল আলম, দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার এম জে এইচ জামিল, এখন টিভির ব্যুরো প্রধান গোলজার আহমেদ, দৈনিক শ্যামল সিলেটের রির্পোটার আতিক আহমদ নগরী, দৈনিক খবরের সিলেট প্রতিনিধি সাকিলা ববি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি রানা মজুমদার বাপ্পি, মালটিমিডিয়ার জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের আহ্বায়ক মাসুদ আহমদ রনি, বার্তা টুয়েন্টি ফোর সিলেট প্রতিনিধি মসাহিদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, ১৯ জুলাই এর ঘটনাস্থলের বর্ণনা দেন দৈনিক মানবজমিনের ফটো সাংবাদিক মাহমুদ হোসেন।

দৈনিক জালালাবাদের আলোচনা সভা

শহীদ সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল পুলিশ কর্মকর্তাকে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সাংবাদিক নেতারা।

তারা বলছেন, পুলিশ টার্গেট কিলিং করে তুরাবকে হত্যা করেছে। তুরাব হত্যার বিচারে সিলেটের সাংবাদিক সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। সাংবাদিকদের নানা মত থাকতে পারে কিন্তু পেশাগত জায়গায় সবাই এক। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে হত্যার বিচার হবেই। ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের সাংবাদিক সমাজ থেমে যাবে না। নষ্ট রাজনীতির চোরাগলিতে যেন তুরাব হত্যার বিচার হারিয়ে না যায়।

শনিবার বিকেলে দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার তুরাবের ১ম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক জালালাবাদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তারা এসব কথা বলেন।

দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন-নূরের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র রিপোর্টার মুনশী ইকবালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আহমেদ নুর, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক নয়াদিগন্তের ব্যুরো চিফ আব্দুল কাদের তাপাদার, বাসসের ব্যুরো চিফ সেলিম আওয়াল, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো চিফ কবির আহমদ, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবির আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো চিফ শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইমজা) সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ মিঠু, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল কবির পাভেল, দৈনিক আজকের পত্রিকার ব্যুরো চিফ ইয়াহইয়া মারুফ ও দৈনিক জালালাবাদের সাবেক সিনিয়র রিপোর্টার মুহিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার এমজেএইচ জামিল ও চিফ ফটো সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর লিটন। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দৈনিক জালালাবাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনার সালমান আহমদ সোহেল। মোনাজাত পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, সাংবাদিক তুরাবকে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতাকে হত্যা করা হয়েছে। যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে সেই পুলিশ পেশাগত দায়িত্বপালনকালে নিরস্ত্র নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যা সুস্পষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধ। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শহীদ সাংবাদিক তুরাবের হত্যাকারী ও নির্দেশদাতা সকল পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক ও সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুকতাবিস উন-নূর বলেন, ‘যারা মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার কথা তাদের হাতেই নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে সাংবাদিক তুরাব। তুরাবের শরীরে ৯৮টি স্প্রিন্টার পাওয়া গেছে। এটা টার্গেট কিলিং। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তুরাব পেশাগত দায়িত্বপালনকালে ১৯ জুলাই মারা গেছেন। তিনি ১৫ জুলাই দৈনিক জালালাবাদে চিনি চোরাচালান নিয়ে একটি লিড নিউজ করেছেন। সেই প্রতিবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের কিছু কর্মকর্তার নাম এসেছে চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে। এটাও হয়তো হত্যার একটা কারণ হতে পারে। পুলিশ সুযোগ বুঝে কাজে লাগিয়েছে।‘

দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক বলেন, ‘পুরো সাংবাদিক সমাজকে সুরক্ষিত করতে হবে। সাংবাদিক সমাজ সুরক্ষিত না থাকলে দেশ সুরক্ষিত থাকবে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে তুরাব হত্যার দ্রুত বিচার সুনিশ্চিত করা জরুরি। তুরাব হত্যার বিচার যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হয়, এজন্য জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ট ড. এনামুল হক চৌধুরীকে বিএনপির হাই কমান্ড সহযোগিতার কথা জানান। তুরাব স্মরণে একটি স্মারক বের করারও কথা জানান তিনি।’