বরিশালের মুলাদী উপজেলায় ইসলামী ছাত্র শিবির বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহীদ আলতাফ মাহমুদ অডিটোরিয়ামে মুলাদী সরকারি কলেজের শিবিরের উদ্যোগে কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও এক শিক্ষার্থী এক কুরআন ২০২৫” প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে।
মুলাদী উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হামিম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য, বরিশাল মহানগরীর আমির ও বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। তরিকুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরআন তেলোয়াতের পরই বরিশাল চন্দ্রদ্বীপ শিল্পীগোষ্ঠির সদস্যরা ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করেন।
উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ ইসলাম সৌরভের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধান আলোচক শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদের সদস্য ও বরিশাল মহানগর সভাপতি নাঈম হাসান, শিবিরের বরিশাল জেলা সভাপতি আকবর হোসেন, অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বরিশাল শেরে বাংলা কলেজের সাবেক সভাপতি ইসমাইল সরদার, বরিশাল বিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সালেহ প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জুলাইযোদ্ধা শহীদ জাহিদ হোসেনের বাবা, মুলাদী ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সভাপতি ইব্রাহীম খান ও মুলাদী সরকারি কলেজের শিবিরের সভাপতি আহনাফ রহমান সামত ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আজ দেশের যুব সমাজ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত এ দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে হরেক রকমের মাদক সেবনের সুযোগ করে দিচ্ছে। যুব সমাজ ধ্বংস করতে পারলে একটি দেশ এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু ছাত্রশিবির সেই যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে ন্যায় ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত, আদর্শবান ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত কার্যকর।
তিনি আরো বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা জরুরি। প্রত্যেকে নিজের অবস্থান থেকে উৎকর্ষ অর্জনের লক্ষ্য নিয়েই এগোতে হবে। তাই এই আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুবাদসহ কুরআন বিতরণ করা হলো যা পড়ে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করবে, যা তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
অন্যান্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। তোমরা স্কুল জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছো। এখন প্রয়োজন নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে কথা বলার দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা এসব গুণ স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়।
তারা আরো বলেন, কুরআনের শিক্ষা সমাজকে নৈতিকতার আলোকে আলোকিত করে এবং আদর্শবান প্রজন্ম তৈরি করে। একজন শিক্ষার্থীর হাতে কুরআন তুলে দেয়া মানে তার সামনে সত্য, ন্যায় ও নৈতিকতার আলোকবর্তিকা তুলে দেয়া। কুরআন মানবতার মুক্তির দিকনির্দেশনা দেয়। শিক্ষার্থীদের জীবনে আদর্শ ও নৈতিকতার আলো ছড়িয়ে দিতে কুরআনের শিক্ষা অপরিহার্য।
শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থসহ কুরআন ও বই বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।



