বামনা উপজেলা সৃষ্টির ৩৯ বছর পর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ

বরগুনার বামনা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বামনা (বরগুনা) সংবাদদাতা
বামনা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত
বামনা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত |নয়া দিগন্ত

বরগুনার বামনা উপজেলা সৃষ্টির ৩৯ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রথম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় বামনা উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মিত নতুন ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ পরিণত হয় এক ঐতিহাসিক মিলনমেলায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাজের মন্থর গতি লক্ষণীয় হলে এই উপজেলার সর্বস্থরের মুসল্লিয়ান একরাম তাদের দীর্ঘ দিন ধরে প্রতীক্ষায় থাকা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে এবাবের ঈদের জামায়েত আদায়ের লক্ষে ধর্মীয় এ অধিকার আদায়ে জনগণকে নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা, উপজেলা জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারির সাইফুল মানসুরসহ অন্য রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ইমাম ও মুয়াজ্জিন একযোগে এগিয়ে আসায় যথাসময়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে জনস্বার্থে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা : নিকহাত আরার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন ও আর্থিক সহোযোগিতাসহ তদারকির কারণে উপজেলার জনসাধারণের কাছে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

বামনা প্রেসক্লাবে সভাপতি আবু নাসের গোলাম কিবরিয়ার দিনরাত পরিশ্রমে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ আদায়ের প্রচেষ্টায় মুসুল্লিরা কৃতজ্ঞতা জানায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, ‘বামনা মুসল্লিদের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি ঈদগাহ। বিগত বিভিন্ন সরকারের সময়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দায়িত্বশীলদের অভিমতের ভিন্নতায় অজুহাতে সদিচ্ছার অভাবে এ উপজেলায় ঈদগাহ গড়ে ওঠেনি।’

সাবেক টিএনও আল ইমরানের এই ঈদগাহ নির্মাণের প্রচেষ্টার কারণে জনসাধারণ তাকে পক্ষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।