‘কুয়াকাটা বাঁচাও, পর্যটন বাঁচাও’ স্লোগানে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

মানববন্ধনে দ্রুত কুয়াকাটা পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, সৈকত ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সরকারি নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Patuakhali
মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষজন অংশ নেন
মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষজন অংশ নেন |নয়া দিগন্ত

‘কুয়াকাটা বাঁচাও, পর্যটন বাঁচাও’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে দ্রুত কুয়াকাটা পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, সৈকত ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সরকারি নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।

শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটার ডিসি পার্ক এলাকার সৈকত সড়কে এ মানববন্ধন করেন স্থানীয় হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, দোকান মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘কুয়াকাটা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত এবং সম্ভাবনাময় আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হলেও অব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিকল্পনার অভাবে পর্যটন শিল্প মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে। সৈকত ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।’

তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘সৈকতের ভাঙন ও বালু ক্ষয়ের কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ফলে দেশী ও বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা কমছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।’

এ সময় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: মতিউর রহমান হাওলাদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখার সাবেক আমির মাওলানা মো: মাইনুল ইসলাম মান্নান, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাব সভাপতি রোমান ইমতিয়াজ তুষার, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

এদিকে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে স্থানীয় মানুষজন অংশ নেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ তারিকুজ্জান তুহিন বলেন, ‘নিম্নচাপ ও জোয়ারের ঢেউয়ের তাণ্ডবে গত দুই দিনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যা আমরা পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীকাল থেকে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব স্থাপনের কাজ শুরু করব। এতে অস্থায়ীভাবে কিছুটা হলেও ভাঙন রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।