ভোলায় জমিজমা বিরোধের জেরে রেজোয়ান আমিন সিফাত নামে ছাত্রদলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়া পর হামলার শিকার হন সিফাত এবং ঘটনাস্থলেই তার হত্যা নিশ্চিতের পর পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
সিফাতের পরিবারের দাবি- ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাড়ির কাছেই রাস্তায় ওঁৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক, ৯নং ওয়ার্ড সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও আসন্ন কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন।
সিফাতের বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে ৫ জনকে চিনতে পেরেছি। তারা আমাদের রাজনৈতিক ও পারিবারিক দীর্ঘদিনের শত্রু।
তিনি আরো অভিযোগ করেন বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে হাসিব, শাকিল, সিহাব, রনি ও মঞ্জিলসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮জন জড়িত ছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন নিহত সিফাতের আপন চাচাতো ভাই ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজাপুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল মেম্বারের ছেলে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার পর স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় সিফাতকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবর শুনে ভোলার বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভীড় জমান এবং হত্যার সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। দ্রুত অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।


