বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের এমপি প্রার্থী আল্লামা সাঈদীর ছেলে জননেতা মাসুদ সাঈদীর সাথে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টায় পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর মিডিয়া বিভাগের আয়োজনে মাসুদ সাঈদীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস.এম রেজাউল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সদস্য সরোয়ার হোসেন জুয়েলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাসুদ সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন, ২৪-এর ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে, পিছিয়ে পড়া দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য আমি আপনাদেরসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ৫ আগস্ট এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আমি যা যা করেছি তার কিছু অংশ আমি আপনাদের সামনে পেশ করতে চাই।
তিনি বলেন, পিরোজপুর পৌরসভার ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো একটি পৌরসভা হলো এখানে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বলতে কিছুই নেই। এখানে একক শাসনের নামে শোষণ করে জনগণের টাকায় উন্নয়ন না করে পকেট ভারী করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। এখানে চলাচলের অনুপযোগী ৮ থেকে ১০ ফুট চওড়া রাস্তা রয়েছে, পয়ঃনিষ্কাশন ও ড্রেনেজের ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। সুপেয় পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ভয়াবহ দুর্দশায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, ভালো কোনো স্থাপনা নেই। আমি পৌরসভার উন্নয়নের কাজে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য একটি স্কিম মন্ত্রণালয়ে জমা করেছি। অতি শিগগিরই স্কিমের বরাদ্দ চলে আসবে। সুপেয় পানির ব্যবস্থার জন্য জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ছয়টি পাওয়ার প্লান্ট বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছি। এক একটি পাওয়ার প্লান্টে ৩ কোটি টাকা করে মোট ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ করিয়েছি। এক একটি পাওয়ার প্লান্টে ৩০০ থেকে ৪০০ লোকের পানির ব্যবস্থা করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরে, নাজিরপুরে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থাকলেও ইন্দুরকানীতে কোনো টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নেই। আমি তিন একর জমির উপর ইন্দুরকানীতে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বরাদ্দ করেয়েছি। এর ফলে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের বেকার সমস্যার দূর হবে, কর্মের ব্যবস্থা হবে। ইন্দুরকানীতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও আমি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করবার ব্যবস্থা করিয়েছি। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার জেনারেটরসহ হাসপাতাল সংস্কার কাজে সাড়ে সাত কোটি টাকার বরাদ্দ করিয়েছি যা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন অবগত আছেন। ইন্দুরকানিতে অকেজো একটি ডাকবাংলো রয়েছে। আমি ইন্দুরকানীতে ৪ তলা বিশিষ্ট ডাকবাংলোর জন্য ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করিয়েছি, নাজিরপুর হাসপাতালে সংস্কারের জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগ করে এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ টাকার বরাদ্দ এনেছি, নাজিরপুর থানা সংস্কারের জন্য আমি ছয় লাখ টাকার বরাদ্দ এনেছি। এছাড়া আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সকল ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে ও আমার প্রচেষ্টা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আরো বেগবান করতে চাই। এজন্য সকলে সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পিরোজপুর জেলা শাখার আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আমির মাওলানা ইছাহাক আলীসহ জেলা জামায়াতে ইসলাম ও এর অঙ্গ সংগঠনে নেতৃবৃন্দ এবং প্রেসক্লাবের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।