মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে এবছর সার সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকরা টাকা নিয়ে এদিক সেদিক ঘুরেও পাননি সার। অনেকেই সার পেলেও তার জন্য দিতে হয়েছে মূল্যের চেয়ে বেশি দাম। ফলে কৃষকরা ছিলেন দুশ্চিন্তায়, কিভাবে উৎপাদন করবেন ফসল, কীভাবে চলবে তাদের এবছরের সংসার। কৃষিই প্রধান পেশা হওয়ায় ফসল উৎপাদন করেই চালাতে হয় সংসার।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর মানিকগঞ্জ-২ সংসদীয় আসনের এমপি প্রার্থী মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান উপজেলার বাস্তা বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে দেখা হয় স্থানীয় কৃষকদের সাথে তারা জানান, তাদের সার সংকট, তারা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না, সারের জন্য ঘুরতে হয় এদিক সেদিক, অনেকেই সার দিলেও দাম রাখে অনেক বেশি।
জামায়াতের মনোনীত মানিকগঞ্জ-২ এর এমপি প্রার্থী মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান কৃষকদের কথা শোনার পর তৎক্ষণাৎ শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে হরিরামপুরের সার সংকটের বিষয়ে অবগত করেন। পরবর্তীতে শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানান, এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ সার রয়েছে তবে হরিরামপুরের কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুই দিনের ব্যবধানে অসংখ্য কৃষক বর্তমানে সার পাচ্ছেন। সকল সিন্ডিকেট ভেঙে জাহিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে উপজেলার কৃষকরা ফিরে পেলেন তাদের ফসল উৎপাদনের জন্য সার। সার পেয়ে কৃষকরা চলে যান জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য।
আন্ধারমানিক গ্রামের কৃষক মো: রিপন সার পাওয়ার পর বলেন, ‘জামায়াতের এমপি পার্থী জাহিদুর রহমান আমাগো সার ব্যবস্থা করে দিছেন। আমরা সার পেয়ে অনেক খুশিতে আছি। এইবার আমরা ফসল ফলাতে পারবো।
ইজদিয়া গ্রামের কৃষক মো: মহিদ হোসেন বলেন, ‘কয়দিন আগে অনেক জায়গায় ঘুরেছি সারের জন্য কিন্তু সার পাইনি।
জাহিদুর রহমানের কাছে আমরা সারের বিষয়ে বললে তিনি আমাদের আশ্বাস দেন সার আমরা পাবো। তার দুইদিন পর আমরা সকলে সার পেয়েছি। আমরা এখন জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারবো।
মানিকগঞ্জ-২ জামায়াতে ইসলামীর এমপি পার্থী মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, এদেশের কৃষকরা হলো সত্যিকারে হিরো। কৃষকরা যদি ফসল উৎপাদন না করে তাহলে সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব পরবে। আমারা কৃষকদের কথা চিন্তা করে তদের জন্য যতটুকু সম্ভব করেছি। তবে জামায়াতে ইসলামী যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় যায় তাহলে সকল ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা হবে।



