আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে : ডুয়েট ভিসি

আর্থিক শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য বাজেট প্রণয়ন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
‘ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট : বাজেট অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা
‘ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট : বাজেট অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা |নয়া দিগন্ত

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি। আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর্থিক শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার জন্য বাজেট প্রণয়ন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপেই দায়িত্বশীলতা, জবাবদিহিতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডুয়েটের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সকল পর্যায়ে পূর্বের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দক্ষতা ও সময়ানুবর্তিতা মেনে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান, বিধি-বিধান চর্চা এবং মানবিক নেতৃত্বের সমন্বয়ে আমরা যদি কাজ করি, তবে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করে অগ্রসর হওয়া যাবে।’

সোমবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন একাডেমিক ভবনের ৩১১ নম্বর সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট : বাজেট অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এই ধরনের কর্মশালা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পট্রোলার অফিস ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

কন্ট্রোলার অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আরেফিন কাওসার। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহা. আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশন পরিচালনা করেন ডুয়েটের কম্পট্রোলার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

কর্মশালায় রিসোর্স পারসন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম অফিস বাজেট প্রণয়ন, ক্রয় পরিকল্পনা, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা, অফিস ব্যবস্থাপনা, প্রতিবেদন তৈরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উদাহরণসহ কৌশলগত দিক-নির্দেশনা দেন।

পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন অফিস ও শাখা প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।