নিজ বাড়িতে আনন্দ-রসিকতায় আপনজনদের মাতালেন ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাগত জানিয়েছেন নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামের হাটহাজারী নজুমিয়ার হাটের বাথুয়া গ্রামবাসী।

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
আনন্দ-রসিকতায় আপনজনদের মাতালেন ড. ইউনূস
আনন্দ-রসিকতায় আপনজনদের মাতালেন ড. ইউনূস |নয়া দিগন্ত

‘আব্দুর রশিদ টেন্ডলের ঠাঁট, নজুমিয়ার হাট। দুলু মিয়ার চালা বাড়ি, ফরুখ মিয়ার মঠর গাড়ী। চিন্তা কর কথ্থিয়ার ভাযা এগিন। হুনিলাম পরিবর্তনের চোঁয়ায় এখন আঁরার নজুমিয়ার হাট শহর অইয়ে, আর শহর (চট্টগ্রাম) বিলাত অইয়ে।’-এমনই আনন্দ-রসিকতায় নিজ বাড়িতে আপনজনদের সাথে মেতে ওঠেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৪ মে) নিজ বাড়িতে গ্রামবাসী ও আপনজনদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে আনন্দ-রসিকতায় এসব কথা বলেন তিনি।

এ দিন তাকে স্বাগত জানিয়েছেন নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামের হাটহাজারী নজুমিয়ার হাটের বাথুয়া গ্রামবাসী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে শেষ বিকেলে তিনি নিজ বাড়িতে পৌঁছেন। এ সময় তিনি পরিবারের পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করেন এবং শেষে গ্রামবাসী আয়োজিত বৈঠকে যোগদান করেন। এ বৈঠকে তিনি আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্যের শুরুতে আনন্দ-রসিকতায় কথা বলেন এবং সবাই করতালি ও হাসি-আনন্দে মেতে ওঠেন।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা বাড়িতে আসবেন এজন্য গত এক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিল স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রামবাসী।

প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর এই প্রথম পৈত্রিক বাড়ি হাটহাজারীতে এলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আসবেন এ খবর শুনে শুধু শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রাম নয় পাশের ইউনিয়নগুলোতেও লেগেছে আনন্দের ঢেউ। নোবেল বিজয়ী ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখা ও তার মুখে কথা শোনার জন্য এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের এক সপ্তাহের অপেক্ষা আজ বুধবার শেষ হয়েছে।