রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হোসেন মণ্ডল পাড়ার বাসিন্দা ইরাক প্রবাসী আজাদকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার পর লাশ তিন টুকরা করে বস্তায় ভরে বাগদাদ শহরের একটি সড়কের ময়লার ভাগাড়ে ফেলে রাখা হয়।
পরে শহরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দুর্গন্ধ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। আজাদের লাশ বর্তমানে বাগদাদের একটি মর্গে রাখা হয়েছে। দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, মাত্র তিন মাস আগে স্থানীয় বাবুল নামে এক দালালের মাধ্যমে সাত লাখ টাকার বিনিময়ে ধারদেনা করে ইরাকে যান আজাদ। সেখানে যাওয়ার পর নির্ধারিত কাজ না দিয়ে তাকে অন্য কাজে নিয়োজিত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে তিনি নিখোঁজ হন। গত বৃহস্পতিবার রাতে লিটন নামে অন্য এক ইরাক প্রবাসী কল করে আজাদের পরিবারকে হত্যার বিষয়টি জানান।
আজ শনিবার সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে তার মা ও স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। আজাদের মা বারবার বুক চাপড়ে বলছিলেন, ‘আমার ছেলের লাশ ফেরত এনে দাও। তোমরা আমার বুকের ধনকে আইনা দাও।’
আজাদের স্ত্রী ময়না বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাবুলের মাধ্যমে পাঠানো হলেও তাকে প্রতিশ্রুত কাজ দেয়া হয়নি। বাবুল কল ধরলে হয়তো আজ এই পরিণতি হতো না। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ইরাক থেকে মোবাইল ফোনে বাবুল জানান, আজাদকে তিনি কুমিল্লার সোহাগের মাধ্যমে একটি দোকানে কাজে দিয়েছিলেন। পরে দোকানের মালিক কফিল তাকে বাসায় নিয়ে গিয়ে বাড়িঘর পরিষ্কারের কাজে লাগান।
বাবুল বলেন, ‘আজ শুনছি আজাদকে হত্যা করে লাশ তিন টুকরা করে ফেলা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশ দূতাবাসে বিচার দিয়েছি।’
আজাদের শ্যালক জহরুল হক বাপ্পি জানান, ‘আজাদ ভাইয়ের লাশ মর্গে আছে। রোববার হত্যার আসামি কফিলকে কাজুমিয়া আদালতে তোলা হবে।’
তিনি আরো জানান, লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।