খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে ফেনীরকুল চর এলাকার সীমান্ত দিয়ে তারা দেশে প্রবেশ করেন।
পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো: উম্মেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) এবং তাদের তিন মেয়ে রুমি খাতুন (১৫), রুম্পা খাতুন (১২) ও সুমাইয়া খাতুন (৮)।
স্থানীয়রা জানায়, সীমান্ত পেরিয়ে ওই পরিবারটি রামগড়ের সোনাইপুল বাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের দেখে স্থানীয়রা বর্ডার গার্ড মহামুনি বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতের পুশ-ইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব বলেন তিনি।
পুশ ইন করা ব্যক্তিদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানতে চাইলে ডিজি বলেন ‘আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাদের বাংলাদেশী পেয়েছি, তারা গত দুই থেকে তিন বছর মধ্যে এমনকি অনেকে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানান কাজে ভারতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই সন্তান-সন্তানদি আছে।
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতের আধারকার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস ছিল। ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে।
পুশ-ইনের পর বাংলাদেশী নাগরিকদের নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি। সূত্র : ইউএনবি



