ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

হারুন আনসারী, ফরিদপুর

Location :

Faridpur Sadar
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম হুমায়ুন
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম হুমায়ুন |নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার(৭ মে) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর আলম হুমায়ুন (৩৪) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মো: শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ কারাগারে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মধুখালীর দয়ারামপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিন মোল্লা তার মেয়ে শীলা খাতুনকে (২৬) হত্যার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর থানায় মামলা করেন।

মামলার তিনি অভিযোগ করেন, দু’দিন আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাত পৌনে ১টার দিকে শীলাকে পরিবারের যোগসাজশে তার স্বামী যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং বিষপান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করতে থাকে। তবে তারা এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছুই জানায়নি। পরের দিন ভোরবেলা প্রতিবেশীদের নিকট থেকে ফোনের মাধ্যমে আমরা এ খবর জানতে পারি। এরপর মেয়ের স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তাদের পরিবারে কাউতে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দেন। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে স্বামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এ রায় দেন।