কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবা লুটের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। কারণ, সম্প্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দিন দিন আমাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিলাম। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।’
তবে তিনি ইয়াবা লুটে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, ‘স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
এর আগে রামু-মরিচ্যা সড়কের পাঞ্জেগানা বাজার থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা লুট করে বিক্রিলব্ধ প্রায় ৫০ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করেন সেলিমসহ ২৩ বিএনপি নেতাকর্মী।
পরে এ সংক্রান্ত অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ের তিন নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, ওই ’ছাত্রদল নেতা’ সেলিম বিবাহিত ও তার আদৌ কোনো ছাত্রত্ব নেই। তিনি মূলতঃ পাঞ্জেগানা বাজারের ইজারাদার ও বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে ছাত্রদলের পদ-পদবী ব্যবহার করে আসছিলেন।
অভিযুক্ত ছানা উল্লাহ সেলিম ফোন রিসিভ না করায় ওই বিষয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।