যশোরে গভীর রাতে যুবককে হত্যা

আ’লীগের সাবেক কাউন্সিলর বাবুলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ২

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শংকরপুর আনসার ক্যাম্পের পেছনে তানভীরকে একা পেয়ে বাবুল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাকে একের পর এক ছুরিকাঘাত ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

এম আইউব, যশোর অফিস

Location :

Jashore
যশোরে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল
যশোরে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল |নয়া দিগন্ত

যশোরে তানভীর নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তানভীরকে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত তানভীর যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহত তানভীরের বাবা মিন্টু মিয়া যশোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবুল, শংকরপুর ছোটনের মোড়ের সন্ত্রাসী মুসা ও সাব্বিরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

পরে রোববার চোপদারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও একই এলাকার বেলায়েত আলীর ছেলে সোনা মিয়াকে আটক করে পুলিশ। আটক দু’জনকে পরে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া পলাতক অন্য আসামিরা হলেন চোপদারপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহর ছেলে অভি, মজিবরের ছেলে মানিক ও শংকরপুরের আল আমিন ওরফে চোর আলামিন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তানভীর আগে মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন এবং সর্বশেষ তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এর আগে, তানভীরের বন্ধু আফজাল খুন হন। ওই খুনের সাথে সম্পৃক্ততা ছিল কাউন্সিলর বাবুলসহ অন্য আসামিদের। আফজাল হত্যা নিয়ে তানভীর প্রতিবাদ করায় বাবলুসহ অন্য আসামিদের সাথে তার শত্রুতার সৃষ্টি হয়।

তারই জের ধরে শনিবার রাত ১০টার দিকে সাবেক কাউন্সিলর বাবুলের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তানভীরের বাড়িতে যান। তানভীরকে না পেয়ে তারা বাড়িতে ভাঙচুর চালান এবং হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শংকরপুর আনসার ক্যাম্পের পেছনে তানভীরকে একা পেয়ে বাবুল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাকে একের পর এক ছুরিকাঘাত ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তানভীরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আলমগীর হোসেন জানান, দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সন্ধ্যার পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।