পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সড়কের ওপর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় দুই নারীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সড়কের পাশে ঘুমন্ত অবস্থায় লরি চাপায় নিহত হয়েছেন ওই দুই নারী। এ সময় প্রাণ কোম্পানির দুধের ওই লরিটি চালাচ্ছিলেন তার হেলপার এবং পাশের সিটে ছিলেন চালক। এদিকে ঘটনার ১২ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ওই দুই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওই লরির চালক আলাল মিয়া (৫৭) ও হেলপার লিমন আলীকে (২৫) গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশকে এ তথ্য জানান তারা। এর আগে অবস্থান শনাক্ত করে পাশের গুনাইগাছা প্রাণ হাব থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া লরি চালকের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ও হেলপারের বাড়ি পাশেল চাটমোহর উপজেলায়।
ওসি জানান, ‘নিহত দুই নারী রাতের বেলায় পৌরসভার চৌবাড়ীয়া উত্তরপাড়া এলাকার পাকা সড়কের পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোররাতে প্রাণ কোম্পানির দুধের লরির চাপায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মগজ বের হয়ে যায় তাদের। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, নিহতদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না হওয়ায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পরপরই ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে পাবনা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক আইনে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুধের ওই লরিটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট সকালে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকার পাকা সড়কের ওপর থেকে মাথা থেকে মগজ বের হয়ে যাওয়া অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় ওই দুই
নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।