আমতলীতে ক্যারম খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২৫

বিকেলে উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে মজনু চৌকিদার ও রফিকুল ইসলাম মীরের বংশের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Barguna
দুই বংশের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২৫
দুই বংশের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২৫ |নয়া দিগন্ত

বরগুনার আমতলীতে ক্যারম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের সদস্যদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে মজনু চৌকিদার ও রফিকুল ইসলাম মীরের বংশের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদারের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মুদি দোকানে শনিবার সকালে যুব মীর (১৯), আরাফাত মীর (২৫) ও রাফি মীর (২০) ক্যারম খেলছিল। এ সময় দোকানের মালিকের ছেলে হাসান চৌকিদারের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মজনু চৌকিদারের লোকজন তাদের পিটিয়ে জখম করে। পরে তাদের মারধরের বিষয়টি জানতে রফিকুল ইসলাম মীর ও তার লোকজন শনিবার বিকেলে ওই ইউপি সদস্যের বাড়িতে যান। পরে একপর্যায়ে দুই বংশের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। ঘটনায় দফায় দফায় সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়।

তাদের মধ্যে গুরুতর আহত রফিকুল ইসলাম মীর (৪০), আমির হামজা মীর (৩৩), শামীম মীর (৩০), নাশির উদ্দিন মীর (৬৫), আলমাস মীর (৪৮), মালেক মীর (৫০), আল আমিন মীর (৩২), জাহিদুল মীর (২৮), মিলন মীর (৩৫) ও সাইফুল মীর (২৫), মজনু চৌকিদার (৬০), রিয়াজুল চৌকিদার (৩৫), মমিনুল চৌকিদার (৪৫), হাসান চৌকিদার (২৫), মাহবুব চৌকিদার (৪৫), আবুল বাসার চৌকিদার (৫০), তাসলিমা (৪৫) ও নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলিকে (৫০) গ্রামবাসী উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক লুনা বিনতে হক তাদের মধ্যে ১১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।

আহত রফিকুল ইসলাম মীর বলেন, ‘ক্যারম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার লোকজন আমার তিন ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করে। এর কারণ জানতে তার (নারী ইউপি সদস্যের) বাড়িতে গেলে পরিকল্পিতভাবে আমাদের কুপিয়ে জখম করে। এতে আমার পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।’

মজনু চৌকিদারের ভাতিজা মমিনুল চৌকিদার বলেন, ‘নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ছেলে হাসান চৌকিদারকে মীরা বংশের লোকজন মারধর করে। মীরা বংশের লোকজন আমার বংশের ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। পরে তারা আহতদের হাসপাতালে আনতে বাধাও দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: লুনা বিনতে হক বলেন, ‘গুরুতর আহত ১১ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’