নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ছাতিয়ানগাছা গ্রামে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা পারভীন।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকালে পুলিশের ধাওয়ায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারই প্রতিক্রিয়ায় চলার ক্ষমতা হারিয়ে হুইল চেয়ারই এখন তার একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে এখনো সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন তিনি।
হেলেনা পারভীন উপজেলার ছাতিয়ানগাছা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকালে পুলিশের ধাওয়ায় রাস্তায় পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান তিনি। আঘাতের পরিমাণ বুঝে উঠতে না পারলেও কিছুদিন পর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাটিতে পড়ে যেতেন। ধীরে ধীরে তার হাত ও পা ঠিক মতো কাজ করা বন্ধ করে। ২০২১ সালের দিকে তিনি একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেরুদণ্ডে আঘাতের বিষয়টি জানতে পারেন তিনি।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা: মো: লাইলাতুল কাদির মিল্কী জানান, আঘাতের কারণে মেরুদণ্ডের হাড় স্থানচ্যূত হয়ে একাধিক রগে চাপ লেগে আছে। দ্রুত অপারেশন না করালে তিনি চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাবেন। অপারেশনে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
হেলেনা পারভীন বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে এক মাস ১৮ দিন জেল খেটেছি। এরপর ২০১৩ সালে আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়ে এখন আমি অচল প্রায়। হাঁটতে পারি না, দু’হাত অকেজো। টাকার অভাবে অপারেশনও করাতে পারছি না। বিএনপির স্থানীয় দুই-তিনজন নেতা ছাড়া কেউ খোঁজ নেয়নি, পাশে দাঁড়ায়নি। আমি সুস্থ হয়ে আবার দলের হয়ে কাজ করতে চাই। কিন্তু চিকিৎসার জন্য এতো টাকা জোগাড় করার সাধ্য নেই আমার। তাই এ দুঃসময়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানসহ অন্যদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’