নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারীর কক্ষে শাহীন মিয়া(৪২) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শামীম নামে এক মাদকসেবী।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া রায়পুরা উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মেঞ্জেরকান্দি গ্রামের মরহুম আবদুল খালেকের ছেলে। দুই সন্তানের বাবা শাহিন হাসনাবাদ বাজারের গোস্ত পট্টি তাহসিন ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড স্যানেটারি ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ২টার দিকে তিনি ‘তাহসিন ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড স্যানিটারি’ প্রতিষ্ঠানের ট্রেডলাইসেন্স করতে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে হিসাব সহকারীর কক্ষে বসে ট্রেডলাইসেন্স সংক্রান্ত কথা বার্তা বলার সময় হঠাৎ করে শামীম একটি ধারালো রাম দা নিয়ে শাহিনকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এসময় সাথে থাকা হিসাব সহকারী কামাল হোসেনসহ অন্যরা ঘাতক শামীমকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তবে হিসাব সহকারী কামালের খোঁচা দেয়ায় ডেন্ডিখোর শামীম পাগলা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে এলাকাবাসী ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে মাদকসেবী শামীম মাতাল অবস্থায় চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। এসময় ট্রেডলাইসেন্স করতে আসা শাহিন ও আমি শামীমকে চিৎকার চেচামেচি করতে বারণ করি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করতে এলে আমরা রুমের দরজা বন্ধ করে দেই। এসময় শামীম একটি বাঁশ নিয়ে দরজায় সজোরে আঘাত করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সে ব্যর্থ হয়ে চলে যায়। পরে সে ধারালো দা নিয়ে আমার রুমে ঢুকেই শাহিনকে দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। আমিসহ অন্যরা ফিরানোর চেষ্টা করলে দুইজন আহত হই। এ অবস্থায় সে শাহিনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ব্যবসায়ী শাহিনকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাই এবং ঘাতক শামীমকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’