চলনবিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া নামক স্থান থেকে বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে পাবনার চাটমোহরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১ টায় চাটমোহর প্রেসক্লাবে ‘চলনবিল রক্ষা আন্দোলন, চাটমোহর, পাবনা’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস.এম মিজানুর রহমান জানান, ৬টি জেলা, ৪১টি উপজেলার এক হাজার বর্গ কিলোমিটারের চলনবিলে ৪৭টি নদী, ১৬৩টি বিল, ৩০০-এর বেশি ক্যানেল, কয়েকটি বড় বড় পাথার ও এক লাখ ২০ হাজার পুকুর রয়েছে, যার সুবিধাভোগীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি মানুষ। বৈচিত্রময় চলনবিল সারা দেশের অমূল্য সম্পদ।
যমুনা নদীতে চলনবিলের বিশাল জলরাশির পতনমুখ সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বুড়ি পোতাজিয়া নামক স্থান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এই বুড়ি পোতাজিয়াতে স্থাপন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বুড়ি পোতাজিয়া নামক স্থানের কিছু অংশ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
পদ্মা, আত্রাই, বড়ালসহ ৪৭ নদী, ১৬৩ বিল ৩০০টির বেশি ক্যানেল ও লক্ষাধিক পুকুরের পানির একমাত্র পতনমুখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল চলনবিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। বিপর্যয়ের মুখে পড়বে চলনবিল। সঙ্কটে পড়বে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরও।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বিভিন্ন সময়ে চলনবিলকে ঘিরে অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড করায় ইতোমধ্যেই অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে চলনবিল। এখন বুড়ি পোতাজিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে তা হবে চলনবিলকে ধংসের সর্বশেষ পেরেক মারার শামিল। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাবে চলনবিল। আমাদের প্রাণের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিকল্প জায়গা খোঁজা দরকার। চলনবিলের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। আমরা চলনবিলও চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই।
এ সংবাদ সম্মেলনে চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের নের্তৃবৃন্দ, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েলসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।