জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রতিবারই নির্বাচনের পর প্রশ্ন থেকে যায়, জনগণের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিত্তিক নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণের একটি বৃহৎ অংশকে প্রতিনিধিত্বহীন করে রেখেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি গ্রহণ করা। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, দেশের জনগণ আর এ বৈষম্যমূলক নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে না। পিআর পদ্ধতি এখন সময়ের দাবি, জনগণের দাবি ও গণতন্ত্র রক্ষার দাবি।’
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে ওয়াসার মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন। একইসাথে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের বিষয়ে জনগণের মতামত জানতে একটি গণভোট আয়োজন করুন। অন্যথায় এ দাবি আদায়ের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথেই আমরা এর চূড়ান্ত সমাধান করব, ইনশাআল্লাহ।’
চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ও নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি এস এম লুৎফুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হামেদ হাসান ইলাহী, মাওলানা মমতাজুর রহমান, প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকের হোসাইন, আমির হোছাইন ও ফখরে জাহান সিরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনটি মুরাদপুর থেকে শুরু হয়ে ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, লালখান বাজার, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট মোড় হয়ে আগ্রাবাদ বাদামতলা মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সাধারণ জনগণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।