ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কুমিল্লার অংশে নেই যানজট। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত ১০৫ কিলোমিটার এলাকার এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে কুমিল্লার অংশে ১২টি যানজটপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও জেলা পুলিশ কাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রামমুখি লেনে গাড়ির চাপ তুলনামূলক বেশি। বড় যানবাহনের তুলনায় ছোট যানবাহনের সংখ্যায়ই বেশি চলাচল করতে দেখা গেছে। যানজটপ্রবণ এলাকা দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজার ও ইলিয়টগঞ্জ বাজার, চান্দিনার মাধাইয়া বাজার ও চান্দিনা বাজার (বাগুর বাসস্ট্যান্ড), বুড়িচংয়ের নিমসার বাজার, কুমিল্লা সদরের ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট মোড় ও আলেখারচর, সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার, সুয়াগাজী বাজার ও কোটবাড়ী ইউটার্ন এবং চৌদ্দগ্রাম বাজারে যানজটের দৃশ্য নেই।
বাসচালক আব্দুল মান্নান জানান, ‘কুমিল্লার অংশে যানজট নেই বললেই চলে। ঢাকা থেকে কুমিল্লায় তিন ঘণ্টায় যাত্রী পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে। এতে যাত্রীরাও খুশি।’
আরাফাত হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, ‘অন্যান্য বার ঈদে মহাসড়কে যে পরিমাণ যানজট দেখা যায় এবার সে চিত্র নেই।’
হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ও কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো: খাইরুল আলম বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিতে হাইওয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও শৃঙ্খলা রক্ষায় মহাসড়কে রয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, যানজটের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে কুমিল্লা অংশের ১২টি স্পটকে আমরা চিহ্নিত করেছি। মহাসড়কের কোথাও যেন কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি অথবা রাতে মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।